বায়ার জার্নি কী? আমার কাস্টোমার দের বায়ার জার্নি ডিজাইন করব কিভাবে?
বায়ার জার্নি কী
কখনো শপিং মলে ঘুরতে গিয়ে পাঁচ হাজার টাকার শপিং করে ফেলেছেন? এমন তো অবশ্যই হয়েছে, যে অনেকদিন ধরে রিভিউ দেখে, ঘোরাঘুরি করে কিছু কিনেছেন?
এই দুইটি উদাহরণই বায়ার জার্নি এর।
একজন পোটেনশিয়াল কাস্টোমার প্রয়োজন অনুভব করার পর থেকে আপনার পণ্য না কেনা পর্যন্ত যে ডিসিশন মেকিং এর প্রসেস টা ফলো করে, সেটাই বায়ার জার্নি।
আপনার কিছু ক্রেতা হুট করে এসে আপনার পণ্য কিনে ফেলতে পারে, আবার কেউ অনেকদিন ধরে আপনার পণ্য, আপনার কোম্পানি রিসার্চ করার পরে ফাইনালি আপনার ক্রেতা হতে পারে। আপনাকে আপনার স্ট্যান্ডার্ড জার্নি ম্যাপ করতে হবে এই কারণে, যেন দুই ধরণের ক্রেতাই আপনার সম্পর্কে খারাপ কোন ধারণা নিতে না পারে।
তাদেরকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে আপনাকে, এবং সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদেরকে নারচার করতে হবে।
কিভাবে করবেন? এটা জানার জন্যই আমাদের এই ব্লগ! চলুন দেখে নিই!
বায়ার জার্নি কেন ব্যবহার করব
বায়ার জার্নি এর মাধ্যমে আপনি আপনার কাস্টোমার এর কী দরকার, তারা কী বিষয়ে আগ্রহী, তারা কোন প্রোডাক্ট কেনার আগ পর্যন্ত কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে তা বুঝতে পারবেন। এছাড়াও বায়ার জার্নি থাকলে টার্গেটেড মার্কেটিং ক্যাম্পেইন তৈরী করা আরো সহজ হয়ে যায়।
উদাহরণ যদি দিতে হয়, এওয়ার্নেস স্টেজ এর কাস্টোমারদের জন্য আপনি তাদের প্রবলেম এড্রেস করে কন্টেন্ট বা এড রান করতে পারবেন।
কন্সিডারেশন স্টেজ এর কাস্টোমারদের জন্য একটি বিজনেস তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রোমোট করে থাকে যার ফলে কাস্টোমার এর কাছে অনেক অপশন চলে আসে কোন একটা নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর জন্য।
সবশেষে থাকে ডিসিশন স্টেজ, এই স্টেজ এ বিজনেস বিভিন্ন প্রোমোশন করে থাকে অনেক ধরনের ডিস্কাউন্ট, প্রোমো যা একজন কাস্টোমারকে মোটিভেট করে বিজনেস এর কম্পিটিটর এর কাছে না গিয়ে তাদের থেকে প্রোদাক্ট নেয়ার জন্য।
আপনি আপনার বিজনেস এর সেলস অনেকাংশে বাড়াতে পারবেন যদি এই বায়ার জার্নি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
টার্গেট কাস্টোমার দের বোঝা
টার্গেট কাস্টোমার সঠিকভাবে নির্ধারণ করা খুবই দরকারী। কিন্তু কেন? এটা হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে।
আপনার বিজনেস এ প্রফিট দরকার অবশ্যই। কিন্তু আপনি চাইলেই যার তার কাছে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করতে পারবেন না। যার গাড়ি নেই তাকে গিয়ে যদি আপনি ৫০% ডিস্কাউন্ট এ গাড়ির পার্টস রিপেয়ার এর অফার দিন তাহলে তো আসলে লাভ নেই। উনি আপনার টার্গেট কাস্টোমার না।
সঠিক টার্গেট কাস্টোমার বের করা এইজন্যই খুব প্রয়োজন।
এখন আপনি টার্গেট কাস্টোমার কীভাবে নির্বাচন করবেন?
টার্গেট কাস্টোমার নির্বাচন করতে হলে আপনাকে বায়ার পারসোনা বুঝতে হবে, বায়ার পারসোনা আপনাকে আপনার আইডিয়াল কাস্টোমার বের করতে সাহায্য করবে।
বায়ার পারসোনা নির্ধারণ করার সময় যেসব পয়েন্ট খেয়াল রাখতে পারেন:
- বয়স
- জেন্ডার
- লোকেশন
- ইন্টারেস্ট
- ফ্যামিলি লাইফ
- শিক্ষ্যাগত যোগ্যতা
- আয়
- ভ্যালু
এইসব পয়েন্টগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার বিজনেস এর জন্য আইডিয়াল বায়ার পারসোনা তৈরি করতে পারবেন। একটা জিনিস সবসময় মনে রাখবেন, ডাটা হচ্ছে আপনার সবথেকে দরকারী সঙ্গী। ডাটা আপনার সব ধরনের বিজনেস এর সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ করে দিবে।
অনেক সময় বায়ার পারসোনা ডিসাইড করা কঠিন হয়ে যায়। তখন আপনি আপনার কম্পিটিটরদের কাস্টোমার এনালাইসি করে বা রিভার্স পাথ ফলো করে আপনার বায়ার পারসোনা ঠিক করে নিতে পারেন।
রিভার্স পাথ জিনিসটা কী?
রিভার্স পাথ মানে হচ্ছে আপনার নতুন করে বায়ার পারসোনা না তৈরী করে আপনার কম্পিটিটর মানে আপনার সেইম প্রোডাক্ট বা সার্ভিস যারা দিচ্ছে তাদের কাস্টোমার এনালাইসিস করে আপনার বায়ার পারসোনা নির্ধারণ করা।
কাস্টোমার টাচপয়েন্ট গুলো নোট করা
প্রথমেই আসি কাস্টোমার টাচপয়েন্ট আসলে কী?
কাস্টোমার টাচ পয়েন্ট হচ্ছে যখন আপনার ব্র্যান্ড এর সাথে আপনার কাস্টোমার এর যোগাযোগ হচ্ছে কোথায়। এটা হতে পারে আপনার কোম্পানির ওয়েবসাইট, আপনার রান করা কোন এড, কোন ধরনের কন্টেন্ট, যে কোন কিছু যা আপনার বিজনেস এর সাথে কাস্টোমার এর ইন্টার্যাকশন করাবে।
একেক বিজনেস এর জন্য কাস্টোমার টাচপয়েন্ট একেক রকম হয়ে থাকে। আপনি আপনার কাস্টোমার জার্নির প্রধান ৪ টা স্টেজ এ ভাগ করে নিতে পারেন।
১। অ্যাওয়ারনেস স্টেজ
২। কনসিডারেশন স্টেজ
৩। ডিসিশন স্টেজ
৪। রিটেনশন স্টেজ
বায়ার জার্নি ডিজাইন - অ্যাওয়ারনেস স্টেজ
একজন বায়ার এর জার্নির সবথেকে প্রথম ধাপ হচ্ছে অ্যাওয়ারনেস স্টেজ।
এই ধাপে বায়ারকে ২টা জিনিস বুঝাতে হবে আপনার
১। বায়ারকে বুঝাতে হবে যে তিনি কোন একটা প্রবলেম ফেইস করছে
২। আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেই প্রবলেম এর সমাধান দিতে পারবে।
এই স্টেজ এর বায়ার সাধারণত ছোট ছোট প্রবলেম ফেইস করে যা পরবর্তীতে বড় কোন সমস্যার দিয়ে যাবে, অনেকটা রোগের লক্ষণের মত। এখন সবসময় যে বায়ার প্রবলেম গুলো বুঝতে পারবে এমন কিন্তু না। আপনার প্রোডাক্ট দেখেই যেন তার মনে হয় এই প্রবলেমটা তিনি আসলে ফেইস করছেন এবং আপনার প্রোডাক্ট সেই সমস্যার সমাধান করতে পারবে খুব সহজেই।
আপনি বায়ার জার্নির এই স্টেজ এ একজন বায়ার কে বিভিন্নত এজুকেশনাল কন্টেন্ট দিতে পারেন যা তার সমস্যা গুলো নিয়ে কথা বলবে এবং তাকে সমস্যার সমাধান দিবে।
অয়াওয়ারনেস স্টেজ এ আপনি যেসব কন্টেন্ট দিয়ে টার্গেট করতে পারেন:
১। ব্লগ
২। গাইড
৩। ইবুক
৪। ল্যান্ডিং পেইজ
৫। সার্ভিস পেইজ
৬। সোশ্যাল এডস
বায়ার জার্নি ডিজাইন - কনসিডারেশন স্টেজ
এটা একটা বায়ার জার্নির সবথেকে গুরুত্বপূর্ন স্টেজ।
এই স্টেজ এ একজন বায়ার তার সমস্যাগুলো আইডেন্টিফাই করে ফেলে এবং তার সমস্যা সমাধান করার জন্য বিভিন্ন অপশন খুঁজতে থাকে। একজন বায়ার তার সমস্যা সমাধান এর বেস্ট সলিউশান খুজবেই, এখন কথা হচ্ছে আপনি কি তাকে বেস্ট সলিউশান দিতে পারবেন?
এই স্টেজ এ যেভাবে আপনি আপনার পটেনশিয়াল বায়ার এর কাছে রিচ আউট করতে পারেন।
১। কন্টেন্ট মার্কেটিং
ব্লগ, সোশ্যাল পোস্ট, ভিডিও, শর্ট ভিডিও এসব কন্টেন্ট এর মাধ্যমে আপনার প্রসপেক্ট কে ভিবিন্ন বিষয়ে এজুকেট করতে পারবেন। এছাড়া এসব কন্টেন্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য বা সেবার সুবিধা দেখাতে পারবেন ।
২। এসইও
এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বর্তমান সময়ের জন্য খুবই প্রয়োজন। আপনার বিজনেস এর যদি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেটা সার্চ ইঞ্জিন এর সার্চ রেজাল্ট এ শুরুর দিতে আনার জন্য এসইও আপনার দরকার হবেই।
৩। সোশ্যাল মিডিয়া এডভার্টাইজিং
বর্তমানে কার সোশ্যাল মিডিয়া নেই বলুন? আপনার বিজনেস এর পটেনশিয়াল কাস্টোমারদের টার্গেট করে আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে এড রান করতে পারলে সেটা আপনার কোম্পানির ভিজিবিলিটি বাড়াতে সাহায্য করবে অনেকটাই। আর আপনার বিজনেস ও মানুষ এর সামনে আসবে।
৪। কোল্ড ইমেইল মার্কেটিং
কোল্ড ইমেইল মার্কেটিং আপনার বিজনেসকে অন্য কারো সামনে তুলে ধরার এখন পর্যন্ত সবথেকে কার্যকরী পদ্ধতি। সারাবিশ্বে ইমেইল আদান প্রদান এর সংখ্যাটা আপনি যদি দেখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন আমি কেনো এই কথা বলছি।
প্রতিদিন প্রায় ৩৬১০০ কোটি ইমেইল আদানপ্রদান হয় সারা বিশ্বে। সোর্স: স্ট্যাটিস্টা রিপোর্ট
আমরা হাবএক্সপার্টে আমাদের নিজেদের জন্য এবং আমাদের ক্লায়েন্ট এর জন্য কোল্ড ইমেইল মার্কেটিং করে থাকি।
কোল্ড ইমেইল সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত গাইড রয়েছে। যা থেকে আপনি কোল্ড ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য যা যা প্রয়োজন সব জানতে পারবেন।
বায়ার জার্নি ডিজাইন - ডিসিশন স্টেজ
বায়ার এখন তার সমস্যাগুলো নিয়ে জানে, তার সমস্যা সমাধান এর জন্য কী কী করতে হবে তাও জানে, আপনার বিজনেস সম্পর্কে তার একটা আইডিয়া আছে, আপনার কম্পিটিটর এর সার্ভিস সম্পর্কেও তিনি জানেন।
এখন তাহলে তিনি কার সার্ভিসটা আসলে নিবেন সেটা ঠিক করার স্টেজই ডিসিশন স্টেজ।
এই স্টেজ এ বায়ার তার কার্ড নিয়ে রেডি পেমেন্ট করার জন্য। আপনার খেয়াল রাখতে হবে যেনো তার আপনার সার্ভিস নিতে কোন ধরনের দোটানায় না ভোগেন।
নিজের বিজনেস সম্পর্কে এই প্রশ্নগুলো করে দেখুন যে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পজিটিভ নাকি।
- বায়ার কি আপনার প্রাইস পয়েন্ট নিয়ে চিন্তিত? ডিস্কাউন্ট অফার করুন।
- বায়ার আপনারকে না আপনার কম্পিটিটর কে চুজ করবে বুঝতে পারছেন না? কম্পিটিটর আনালাইসিস করে আপনার সার্ভিস এর ইউনিক ভ্যালু প্রেজেন্ট করুন।
- বায়ার স্ক্যাম হবার ভয় পাচ্ছে? মানি ব্যাক গ্যারান্টি অফার করুন।
- একেবারে টাকা দিতে সমস্যা? ইনস্টলমেন্ট অফার করুন।
যখন এইসব শর্ত আপনি পূরণ করতে পারবেন তখনই আপনি আপনার প্রসপেক্টদের কাস্টোমার এ কনভার্ট করতে পারবেন।
বায়ার জার্নি ডিজাইন - রিটেনশন স্টেজ
সবাই কাস্টোমার জার্নির প্রথম তিন স্টেজ এ মনোযোগ দিয়ে থাকে। রিটেনশন স্টেজ এর কথা বেশিরভাগ মানুষ মাথায় রাখেনা।
কিন্তু একজন কাস্টোমার এর সাথে আপনার ইন্টার্যাকশন কিন্তু থেমে যায় না। কাস্টোমার কে আফটার সেলস সার্ভিস সহ আরো অনেকধরণের বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হয়। এইসসব ইন্টার্যাকশন আপনার কাস্টোমারকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে। কারণ একবার আপনার সার্ভিস নেয়ার পরে যদি আর সার্ভিস না নেয় তাহলে সেটা আপনার বিজনেস এর জন্য খুব একটা ভালো সংবাদ হয়।
কাস্টোমার এর থেকে সার্ভে করুন। জেনে নিন তারা কী কী পছন্দ করছে, কী কী পছন্দ করছে না, কী কী করলে আপনার বিজনেস এর ইম্প্রভ করতে পারেন, কী কী নতুন প্রডাক্ট আনতে পারেন। তাছাড়া আপনার কাস্টোমারএর সাথে আপনার এই প্রতিনিয়ত ইন্টার্যাকশন বুঝাবে যে আপনি আপনার কাস্টোমারদের মতামতকে ভ্যালু করেন।
তাছাড়া নতুন কাস্টোমার আনার থেকে পুরাতন কাস্টোমার ধরে রাখা অনেক সহজ।
তাছাড়া স্যাটিসফাইড কাস্টোমার ওয়ার্ড অফ মাউথ এর মাধ্যমে নিজে থেকেই আপনার বিজনেস এর কথা মানুষকে বলবে। এর মাধ্যমে কী পাচ্ছেন জানেন?
ফ্রি মার্কেটিং! আর ফ্রি মার্কেটিং কার না ভালো লাগে বলুন।
অর্গানাইজড সিস্টেম
এইযে বায়ার জার্নি কীভাবে বানাতে হয় আপনি জানলেন। কিন্তু বায়ার জার্নি আপনি ম্যানেজ করবেন কীভাবে? বায়ার জার্নি ম্যানেজ করতে হলে আপনার দরকার একটি অর্গানাইজড সিস্টেম।
বর্তমান যুগ ডেটার যুগ, ডেটা ছাড়া আপনি আপনার বিজনেস এর কোন ধরনের কার্যক্রম চালাতে পারবেন না। আর এই যে এতো ডেটা, বিজনেস এর বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এই সবকিছু আলাদা আলাদা করে মেইনটেইন করা অনেক ঝামেলা এবং সময় সাপেক্ষ।
কিন্তু কেমন হতো যদি আপনার সেলস, মার্কেটিং সব সব টিম এর কাজ একসাথে এক জায়গায় কো-অর্ডিনেট করতে পারতেন? এখানেই আপনার দরকার একটি সিআরএম (CRM) বা কাস্টোমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। হাবস্পট সেরকমই একটি সফটওয়্যার।
এর মাধ্যমে আপনি আপনার কাস্টোমারদের সব ধরনের ডাটা এই প্ল্যাটফর্ম এ নিয়ে আসতে পারবেন খুব সহযেই। এই ডাটা আপনি ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট যেখান থেকেই আনতে চান না কেনো!
আপনার সেলস, মার্কেটিং সহ বিজনেস এর অনেক কাজই আপনি এর মাধ্যমে অটোমেট করতে পারবেন। ম্যানুয়াল কাজ করে আপনার আর সময় নষ্ট হবেনা।
পরিশেষে
এখন জেনে গেলেন বায়ার জার্নি কিভাবে ডিজাইন করবেন এবং ইউটিলাইজ করবেন।
এবার, আমাদের বায়ার জার্নি টেম্পলেট টা ডাউনলোড করে বায়ার জার্নি ডিজাইন করে নিন!
তবে, এত কিছু ম্যানেজ করে ফেলা অনেক মানুষের জন্যই বেশ ঝামেলার বিষয়!
এই কারণেই, আমরা নিজেরা তৈরি করেছি একটি বায়ার জার্নি টেম্পলেট, যেটি আপনি ফলো করে নিজেই বানিয়ে নিতে পারবেন আপনার কাস্টোমার এর বায়ার জার্নি!
তবে আর দেরি কেন? ক্লিক করে ফেলুন নিচের লিংকে এবং ডাউনলোড করে নিন আমাদের বায়ার জার্নি টেমপ্লেট!