Blog

মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ: কিভাবে নতুন ট্রেন্ড গুলোর সঙ্গে পরিচিত হবেন

Written by Fazle Rabbi | May 27, 2024 7:00:06 AM

আপনি যদি কোন বড় কিংবা ছোট কোম্পানির মার্কেটিং হেড হয়ে থাকেন, যদি আপনি সবসময় মার্কেটিং এর নিত্যনতুন সকল ফিউচার ট্রেন্ড এর জন্য খোঁজ করতে থাকেন, তাহলে এই ব্লগ-টি আপনার জন্যই!

আমরা ইন্টারনেটের আনাচে কানাচে ঘেঁটে খুঁজে নিয়ে এসেছি এমন কিছু টুলস, যেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত  ব্যবহার করি, এবং আপনি যদি এখন থেকে ব্যবহার করা শুরু না করেন, তাহলে  আপনি অবশ্যই ভবিষ্যতের দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন!

তবে আর দেরি কেন? চলুন আমরা দেখে নেই কিছু প্রয়োজনীয় টুল, যেগুলো বর্তমানে বড় বড় সব কোম্পানিই ব্যবহার করে।

১। হাবস্পট


আমরা এই লিস্টটি শুরু করছি, এই লিস্টের সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট টুল দিয়ে।

বর্তমান বিশ্বে, ব্যবসায় পরিচালনা হয় লক্ষ লক্ষ ডাটা দিয়ে। আর আপনার লিড বা কাস্টোমারদের সব গোছানো ডাটা আপনি পেয়ে যাবেন সিআরএম এ।

হাবস্পট এমন একটি সিআরএম, বা কাস্টোমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার।

এর অর্থ?

আপনি আপনার কাস্টোমারদের সঙ্গে যতভাবে কানেকশন করা যায়, যত রকম ডাটা পাওয়া যায়, সবই একসঙ্গে পেয়ে যাবেন। হোক সেটা ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট, কিংবা ফোন নাম্বার!

হাবস্পটের ডাটা ট্র্যাকিং দিয়ে আপনি আপনার লিড কিংবা কাস্টোমারের সব অ্যাক্টিভিটি দেখতে পারবেন, সেই অনুযায়ী ডিসিশনও নিতে পারবেন।

হাবস্পট আপনাকে ডিল পাইপলাইনের মাধ্যমে বায়ার জার্নি বুঝতে সাহায্য করবে, এবং এটা মেইনটেইন এবং অপটিমাইজ করতেও সাহায্য করবে। কাজেই, আপনি নিজে আরো ভালোভাবে আপনার প্রসপেক্ট দের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন, এবং আপনার প্রসপেক্ট রাও আপনার পণ্য বা সেবা আরও সহজে নিতে পারবে। 

এছাড়াও, হাবস্পট দিয়ে আপনি অটোমেটেড ডাটা ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন, বা খুবই সূঁক্ষ্ম সূঁক্ষ্ম তথ্য খুঁজে বের করে সেই তথ্যকে ব্যবহার করতে পারবেন। 

এবং, হাবস্পটের এর চেয়েও বড় সুবিধা হচ্ছে হাবস্পটের কাস্টমাইজেশন এ। আপনি হাবস্পট কে যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যবহার করতে পারবেন, যদি আপনি ঠিকভাবে বুঝে যান এর ব্যবহার।

হাবস্পট এর ফ্রি এবং পেইড দুইধরনের টিয়ার আছে। হাবস্পট আপনার বিজনেস এর জন্য উপযুক্ত কিনা সেই সিদ্ধান্তে আসার আগে আপনি হাবস্পট এর ফ্রি ভার্সন ট্রাই করে দেখে নিতে পারবেন।



হাবস্পট সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে,

 

২। ক্লিয়ারবিট

হাবস্পটে তো ডাটা নিয়ে আসলেন, এবার দেখতে হবে আপনার ডাটা কতটুকু কমপ্লিট, কিংবা ডাটা কতটুকু সঠিক।

এই কাজটিই আপনি করতে পারবেন ক্লিয়ারবিট দিয়ে!

ক্লিয়ারবিট একটি কোম্পানি ইন্টেলিজেন্স এন্ড ডেটা এনরিচমেন্ট প্ল্যাটফর্ম। আপনি একটি কোম্পানির নাম জানেন, কিন্তু ডোমেইন জানেন না, কিংবা এমপ্লয়ি দের সংখ্যা জানেন না, যে ডাটা গুলো জানা আপনার জন্য পুরোই গেম চেঞ্জার!

ক্লিয়ারবিটকে আপনি আপনার কোম্পানির ডিটেক্টিভ এর মত ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যে কোম্পানির ডাটাই চান না কেন, সেই কোম্পানি আর কোম্পানি এমপ্লয়িদের ডাটা আপনি ক্লিয়ারবিট দিয়ে বের করে নিতে পারবেন, এবং ডিসিশন নিতে পারবেন।

আপনার কোম্পানির ওয়েব সাইট কারা ভিজিট করছে তা জানতে চান? ক্লিয়ারবিট আপনাকে সেটা জানতেও সাহায্য করবে, এবং আপনাকে সাহায্য করবে পটেনশিয়াল কাস্টোমারদের সাথে যোগাযোগ করতে!

গুগল ক্রোম এর জন্য ক্লিয়ারবিট এর একটি ফ্রি এক্সটেনশন আছে, যা দিয়ে আপনি সাধারণ কিছু তথ্য পেয়ে যাবেন। কিন্তু অ্যাডভান্সড ফিচার আর বিস্তারিত ডাটা এর জন্য ক্লিয়ারবিট এর পেইড প্ল্যান আছে।


৩। গুগল ট্যাগ ম্যানেজার


আপনি অবশ্যই এমন অবস্থায় পড়েছেন, যে আপনি কোন একটি প্রোডাক্টের কথা চিন্তা করছেন, এমন সময় ইউটিউবে ঢুকে সেই প্রোডাক্ট টির অ্যাড দেখতে পেলেন।

কিংবা, আপনি ভুলেভালে একটা ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়লেন, এরপর ইন্টারনেটের যেই কোণাতেই যান না কেন, সব সময় সেই প্রোডাক্টের অ্যাডই দেখতে পাচ্ছেন।

এমনসব টার্গেটিং এর জন্য, আপনার দরকার ইভেন্ট ট্র্যাকিং এবং রিটার্গেটিং। এই কাজ গুলো আপনি করে ফেলতে পারবেন গুগল ট্যাগ ম্যানেজার দিয়ে।

ট্যাগ ম্যানেজারের মূল অংশ তিনটি, ট্যাগ, ভ্যারিয়েবল, এবং ইভেন্ট ট্রিগার। শুধুমাত্র এই তিনটি ছোট ছোট জিনিস সেটআপ করে আপনি হাজার হাজার ভিন্ন রকমের ডাটা পেয়ে যাবেন, এবং এই ডাটার উপর ভিত্তি করে ডিসিশন নিতে পারবেন।

তবে, গুগল ট্যাগ ম্যানেজারের আরও একটি সিক্রেট ফিচার আছে।

আপনি যদি কোন টুল ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে চান, আপনি ট্যাগ ম্যানেজার এ কাস্টম এইচটিএমএল কোড বসিয়ে টুলটি ওয়েবসাইটে টেস্ট করতে পারবেন। কোন ডেভেলপার ছাড়াই।

আপনি টেস্ট করে যদি সিলেক্ট করে ফেলেন, তখন ডেভেলপার রা অ্যাকচুয়াল টুল কিংবা কোড ওয়েবসাইটে বসিয়ে দিতে পারবে। এমনসব ইউজ কেস এ গুগল ট্যাগ ম্যানেজার ভর্তি!

এবং সবথেকে বড় বিষয়,

গুগল ট্যাগ ম্যানেজার এর সকল ফিচার আপনি ব্যবহার করতে পারবেন একদম ফ্রিতে!

 

৪। স্মার্টলুক


আমরা সবাই, সবাইই গুগল অ্যানালিটিক্স এর সঙ্গে পরিচিত।

যদিও, গুগল অ্যানালিটিক্স ফোর অনেক বেশি অ্যাডভান্সড, তবে এর চেয়েও মজার মজার কিছু অ্যাডভান্সড ফিচার আপনি পেয়ে যাবেন স্মার্টলুক এ।

স্মার্টলুকের অ্যাডভান্সড অ্যানালিটিক্স আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরার মত কাজ করবে। আপনার ওয়েবসাইটে কোন পেইজ ভিজিট হচ্ছে, কে কোন পেইজে কতক্ষণ থাকছে সবকিছুই জানতে পারবেন স্মার্ট লুকের মাধ্যমে।

কেন এই টুল আপনার দরকার?

আপনি যদি কখনো এমন সিচুয়েশনে পড়েছেন, যে আপনার ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক অনেক কিন্তু সেলস তেমন হচ্ছে না? স্মার্টলুকের মাধ্যমে আপনি দেখতে পারবেন যে কোথায় গিয়ে সবাই আটকে যাচ্ছে, বা স্পেসিফিক্যালি কোন ফর্ম বা কোন পেইজ টা আপনাকে কাস্টোমার আনতে দিচ্ছে না।

স্মার্টলুক আপনাকে ভিডিও দেখাবে কাস্টোমার ইন্টারঅ্যাকশন এর, এবং হিটম্যাপ জেনারেট করবে। এগুলো দেখে আপনি ডিসিশন নিতে পারবেন, কোথায় আপনার কোন কন্টেন্ট বসানো প্রয়োজন।

স্মার্টলুকের ফ্রি এবং পেইড দুই ধরনেরই অপশন আছে।

 

৫। ভিডিওআস্ক


আমরা সবাই জানি ভিডিও নেক্সট জেনারেশন এর মার্কেটিং টুল।

কিন্তু, ভিডিওকে ইন্টারঅ্যাক্টিভ করা প্রায় অসম্ভব। কিংবা, আমরা চাইলেও দেখা যায় অনেক বেশি পরিমাণে ভিডিও আমাদেরকে তৈরি করতে হচ্ছে।

ভিডিওআস্কে আপনি খুব অল্প খরচে এবং অল্প পরিসরে তৈরি করতে পারবেন ইন্টারঅ্যাক্টিভ ভিডিও।

ইন্টারঅ্যাক্টিভ ভিডিও কী জিনিস?

ধরুন, আপনি কাজ করছেন একজন সেলস স্পেশালিষ্ট হিসেবে, যেখানে আপনি আপনাদের সফটওয়্যার এক্সপ্লেইন করছেন।

ভিডিওআস্কে আপনি যে ভিডিওটি বানাবেন, সেখানে আপনার ভিডিওর মাঝখানে কিছু বাটন আসবে, এই বাটন গুলো প্রেস করলে বিভিন্ন জিনিস আপনি সেটআপ করে নিতে পারবেন। আপনার কাস্টোমার প্রাইসিং জানতে চাইলে প্রাইসিং বাটন এ ক্লিক করবে, তখন অন্য একটি ভিডিও আসবে, যেটা তাকে প্রাইসিং বুঝিয়ে দিবে।

আবার, কন্ট্যাক্ট বাটন এ ক্লিক করলে আপনি কন্ট্যাক্ট ফর্ম এ রিডাইরেক্ট করে দিতে পারবেন, যেখানে সে তার কন্ট্যাক্ট ডিটেইলস বসিয়ে দিতে পারবে। এভাবে আপনি একটি ভিডিও ফ্লো এর মধ্যে তাকে সম্পূর্ণ টুলটি বুঝিয়ে দিতে পারবেন।

তাছাড়া আপনি আপনার রেসপন্স রেকর্ড করে রেখে দিতে পারবেন, আপনার ক্লায়েন্ট বা কাস্টোমার তার নিজের সুবিধামত সময়ে তার রেসপন্স রেকর্ড করে দিতে পারবে আপনাকে।

কিছু বেসিক ফিচার নিয়ে ভিডিও আস্ক এর একটি ফ্রি প্ল্যান রয়েছে। তবে, সব ফিচার পেতে আপনাকে পেইড প্ল্যান নিতে হবে।

 

৬। রিপ্লাই ডট আইও


আমরা সবাই কোল্ড ইমেইল মার্কেটিং এর আশায় অনেক ইনভেস্ট করি।

কিন্তু, এই কোল্ড ইমেইল এর সাফল্য রয়ে যায় আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

রিপ্লাই দিয়ে আপনি এই সাফল্যের কিছু অংশ পেতেও পারেন!

রিপ্লাই ডট আইও একটি ডাটা জেনারেশন ও ইমেইল আউটরিচ প্ল্যাটফর্ম।

এখানেও আপনি ক্লিয়ারবিট এর মত ডাটা এনরিচ করতে পারবেন, কিন্তু রিপ্লাই এর আসল সুবিধা রয়েছে এর অ্যাডভান্সড কোল্ড ইমেইল মার্কেটিং সিস্টেম এ।

কোল্ড ইমেইল এর জন্য আপনাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। মাল্টিপল ডোমেইন, ইমেইল কেনা, সেটআপ, ওয়ার্মআপ সেটআপ, কোল্ড লিড জেনারেশন, সিকুয়েন্স সেটআপ,  সবই করতে হবে। (এ নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে কিছুদিন অপেক্ষা করুন, পেয়ে যাবেন আমাদের ব্লগই!)

আপনি ডোমেইন ইমেইল গুলো কিনে ফেললে, এরপরে বাকি কাজ করে ফেলতে পারবেন রিপ্লাই ডট আইও তেই। যদিও খরচের খাতায় রিপ্লাই একটু দামি, কিন্তু এর মত ফিচার আপনি কোথাওই পাবেন না।

রিপ্লাই এর ফ্রি ভার্সন রয়েছে, তবে এর মূল ফিচার গুলো পেতে হলে তাদের পেইড প্ল্যান নিতে হবে আপনাকে।

 

৭। সিক্সসেন্স


আপনি কি অ্যাকাউন্ট বেজড মার্কেটিং, বা এবিএম নিয়ে পরিচিত?

একটি ইন্ডাস্ট্রিতে, হাজার হাজার টার্গেট কাস্টোমার, বা অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে।

এবিএম বলে যে আপনাকে পুরো ইন্ডাস্ট্রি কে টার্গেট না করে, খুব অল্প কিছু অ্যাকাউন্ট কে টার্গেট করতে, এবং সেই অ্যাকাউন্ট গুলোকে হাইপার ফোকাস করে, আপনাকে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করার চেষ্টা করতে।

আপনি যদি এবিএম এর মত কিছু আপনার মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি হিসেবে নিতে চান, তবে সিক্সসেন্স আপনার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

সিক্সসেন্স দিয়ে আপনি বায়িং ইন্টেন্ট, প্রেডিক্টিভ অ্যানালাইসিস, অ্যাকাউন্ট ইন্টেলিজেন্স, এসব নিয়ে অ্যানালিটিক্স পেয়ে যাবেন, এবং ডিসিশন নিতে পারবেন।

এবিএম নিয়ে যদি আপনি কাজ করতে চান, তবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন!

সিক্স সেন্স এর কোন ফ্রি মডেল নেই, তবে পেইড প্ল্যান নেয়ার আগে আপনি তাদের থেকে ট্রায়াল নিয়ে দেখতে পারপবেন।


৮। সিনথেসিয়া


আমরা সবাই জানি, এমনকি এই ব্লগেও আমরা একটু আগেই বলেছি, যে ভিডিও নেক্সট জেনারেশনের মার্কেটিং টুল।

কিন্তু, আপনার যদি ভালো ক্যামেরা, স্টুডিও না থাকে, তবে ভালো কোয়ালিটির ভিডিও তৈরি করা আপনার জন্য বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। একইসাথে রয়েছে ভালো প্রেজেন্টেশন করার সমস্যা। আপনি ভালো প্রেজেন্টেশন করতে না পারলে, আপনাকে প্রচুর সমস্যা পোহাতে হবে।

সিনথেসিয়া আপনার জন্য এমন সময়ে হতে পারে পার্ফেক্ট সমাধান।

আপনার দরকার শুধু একটি ভিডিও স্ক্রিপ্ট। এই স্ক্রিপ্ট আপনি সিনথেসিয়া তে ইম্পোর্ট করে, সিনথেসিয়া থেকে তাদের প্রি-মেড টেম্পলেট বা অ্যাভাটার দিয়ে নিজের মত করে ভিডিও তৈরি করে নিতে পারবেন।

আপনি যদি বিটুবি কিংবা ম্যাস কন্টেন্ট এ থাকেন, তবে সিনথেসিয়া আপনার জন্য বিশাল বড় টাইম সেভার হয়ে যেতে পারে।

সিনথেসিয়ার কোন ফ্রি প্ল্যান নেই কিন্তু পেইড প্ল্যান নেয়ার আগে আপনি তাদের সার্ভিস ট্রায়াল নিয়ে দেখতে পারবেন।

 

৯। ডাটা বাটন 


অ্যাপ বিল্ডিং, কিংবা স্ক্রিপ্ট বিল্ডিং সবচেয়ে আধুনিক, কিন্তু একইসাথে সবচেয়ে ব্যয়বহুল মার্কেটিং এর পদ্ধতি। (জ্বি, অনেক কোম্পানিই অ্যাপ বানায় শুধুমাত্র মার্কেটিং করার জন্য, এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ নেইল প্যাটেলের উবারসাজেস্ট)

এবার চিন্তা করে দেখুন, আপনি যদি অল্প খরচে, কিংবা কোন প্রোগ্রামিং স্কিল ছাড়া যদি কাজটি করতে পারতেন, তাহলে কী ভালোই না হত!

আপনি শুধু মার্কেটিংই না, নিজের ব্যবসায় হিসেবেই দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারতেন এই অ্যাপ বা স্ক্রিপ্ট গুলোকে।

কিন্তু, এমন আইডিয়া হয়তো আপনি আগেও পেয়েছেন অনেক "নো-কোড" প্ল্যাটফর্ম থেকে। কিন্তু এই প্ল্যান আপনার কাজে আসেনি।

নো-কোড প্ল্যাটফর্ম গুলোর যে লজিক এ অপারেট করে, সেটা বুঝতে গেলে আপনাকে প্রোগ্রামার হতেই হবে।

এছাড়াও, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব নো কোড প্ল্যাটফর্ম যে অ্যাপ বানাবে, সেটা বেশ ইনএফিশিয়েন্ট, কিংবা এমনকি খারাপও হয়।

এরচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে এআই দিয়ে অ্যাপ বানিয়ে নেওয়া।

কিন্তু, চ্যাটজিপিটি কিংবা জেমিনি স্বল্প পরিসরে বানাতে পারলেও, বড় অ্যাপ এসব ল্যাংগুয়েজ মডেল গুলো বানাতে পারে না, কারণ এদের কাজ অ্যাপ বানানো না, এদের কাজ ল্যাংগুয়েজ মডেল হিসেবেই।

ডাটাবাটন সবচেয়ে আধুনিক এআই গুলোর একটি, এবং এই এআই এর কাজই অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট।

অর্থাৎ, ডাটাবাটন সহজ, এফিশিয়েন্ট, এবং অনেক বেশি ফাস্ট।

এবং, আপনি যদি কোন কাজে আটকে যান, তবে আপনাকে সাহায্য করবে ডাটাবাটন যারা তৈরি করেছে, এমন সকল প্রোগ্রামার। কাজেই, আপনি পেয়ে যাচ্ছেন দুই পৃথিবীরই সবচেয়ে ভালো অংশটুকু!

ডাটা বাটনের সব ধরনের প্যাকেজ পেইড, তবে আপনি তাদের থেকে ট্রায়াল নিয়ে তাদের ফিচারগুলো দেখে নিতে পারবেন।

১০। এসইএমরাশ


এখন মার্কেটিং এর একটা মজার সময় পার হচ্ছে আসলে, বুঝলেন।

এক দল বলে, কোল্ড ইমেইল কাজ করে না, অন্য দল বলে, এসইও কাজ করে না। আবার এদিকে কিছু মানুষ বলে অ্যাডভার্টাইজিংও কাজ করে না।

কাজ আসলে সবগুলোই করে, আপনাকে সঠিক সময় বের করে, সঠিক অডিয়েন্স ধরে, কাজ বুঝে করতে হবে। এটা না পারলে, আপনি কোন হট ট্রেন্ডই ধরতে পারবেন না।

তবে, এসইও ছিল, আছে, থাকবে। এবং, এসইও প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টায় পরিবর্তিত হতে থাকবে। এই এসইও কে আপনাকে বুঝতে হবে। নইলে আপনি সবসময়ই পিছিয়ে থাকবেন।

এসইএমরাশ আপনাকে এসইও, এবং অর্গ্যানিক মার্কেটিং এর পৃথিবী বুঝতে সাহায্য করবে। আপনার ওয়েবসাইটে কী কী সমস্যার কারণে হয়তো সাইট টি ভালো পারফর্ম করছে না, তার খুঁটিনাটি দেখতে পারবেন এই টুলের মাধ্যমে। আপনার কোন কোন কিওয়ার্ড টার্গেট করা দরকার, সেটা দেখতে পাবেন। কিভাবে টার্গেট করবেন সেটাও দেখতে পারবেন।

এর সাথে আপনার কম্পিটিটর অ্যানালাইসিসও করতে পারবেন।

মোট কোথায়, আপনার অর্গ্যানিক মার্কেটিং এর জন্য যা দরকার, সবই করতে পারবেন।

চেষ্টা করে দেখুন, এসইএমরাশ ব্যবহার করার পরেও যদি আপনার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো না হয়, তবে আপনি বলতে পারবেন যে এসইও আপনার জন্য কাজ করে না।

এসইএমরাশ এর কিছু বেসিক ফিচার আছে যা ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়, তবে এই টুল এর ফুল পটেনশিয়াল ব্যবহার করতে হলে আপনাকে তাদের পেইড প্ল্যান নিতে হবে।


১১। অ্যাক্টিভ ক্যাম্পেইন


অ্যাক্টিভ ক্যাম্পেইন একটি কাস্টোমার এক্সপেরিয়েন্স অটোমেশন প্ল্যাটফর্ম। অনেকটা হাবস্পট এর মতই।

তবে, হাবস্পটের সঙ্গে অ্যাক্টিভ ক্যাম্পেইন এর মেইন পার্থক্য হচ্ছে, অ্যাক্টিভ ক্যাম্পেইন প্রেডিক্টিভ অ্যানালাইসিস অ্যান্ড অ্যাক্টিং, এদিকে ফোকাস বেশি করে। অন্যদিকে, হাবস্পট এর সিআরএম দিয়ে আপনি সব করতে পারবেন - মার্কেটিং, সেলস, কাস্টোমার সার্ভিস, অ্যাডভান্সড ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট।

হাবস্পট কে আপনি ইআরপি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন, মেম্বারশিপ সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন, এমনকি রিক্রুটমেন্ট সফটওয়্যার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন, আমাদের মত!

অ্যাক্টিভ ক্যাম্পেইন এত বেশি ভার্সেটাইল না, কিন্তু আপনার যদি এত বেশি ফিচার দরকার না হয়, শুধু মার্কেটিং অটোমেশন এর জন্য অ্যাক্টিভ ক্যাম্পেইন বেশ ভালো একটি অপশন।

ইমেইল অটোমেশন থেকে শুরু করে ক্যাম্পেইন ডিজাইন, স্প্লিট টেস্টিং, কন্ডিশনাল কন্টেন্ট (মানুষভেদে ভিন্ন ভিন্ন কন্টেন্ট দেখাবে), অ্যাডভান্সড গোল ট্র্যাকিং, কাস্টম অবজেক্ট সহ অনেক কিছুই আছে এই প্ল্যাটফর্মে। 

অ্যাক্টিভ ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে আপনি কাস্টমার বিহেভিওর উপর নির্ভর করে আপনার টার্গেটেড ইমেইল ক্যাম্পেইন অটমেশন, সেলস পাইপলাইন, অটোমেশন সবকিছুই ভালোভাবে সামলাতে পারবেন।

আপনার মার্কেটিং বাজেট যদি অনেক বেশি না হয়, তবে আপনার জন্য হাবস্পট এর চেয়ে অ্যাক্টিভ ক্যাম্পেইন একটি বেটার সলিউশন হতে পারে।

অ্যাক্টিভ ক্যাম্পেইন এর ফ্রি এবং পেইড দুই ধরনের প্ল্যানই আছে, তবে সকল অ্যাডভান্সড ফিচারই প্রো কিংবা এন্টারপ্রাইজ টিয়ার এ।

 


পরিশেষে,

এই সব টুলই আমরা ব্যবহার করে থাকি আমাদের নিজেদের এবং ক্লায়েন্ট অপারেশনস এ।

এবং আমরা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারব, এর যেকোন একটি টুল আপনার মার্কেটিং এর চিন্তাভাবনা বদলে দিতে সক্ষম!

আপনি যদি এমন টুলস এর সঙ্গে পরিচিত হয়ে নিতে চান, তবে আপনারা চাইলে কথা বলে নিতে পারেন আমাদের সঙ্গে।

এখনই বুক করে নিন একটি মিটিং, এবং ফ্রি কনসাল্টেশন বুঝে নিন আমাদের থেকে!